অনলাইন ডেস্ক : কলারোয়ার খলসী গ্রামে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী ও পুত্র-কন্যাকে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বাদী ময়না খাতুনের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় গতকাল এবং আজ বাদীর বাকী সাক্ষ্য ও জেরার জন্য দিন ধার্য্য করেন আদালত।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান একমাত্র আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে চাঞ্চল্যকর ওই মামলাটি দ্রুত নিষ্পতির জন্য গতকাল সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য্য করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে ঘুমান্ত অবস্থায় কলারোয়া উপজেলার খলসী গ্রামের শাহিনুর গাজী (৪০) ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩০) এবং তাদের পুত্র সিয়াম হোসেন (১০) ও কন্যা তাছলিমকে (৭) নির্মমভাবে হাত-পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় শাহিনুর গাজীর শ্বাশুড়ী ময়না খাতুন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ওই দিনই শাহিনুর গাজীর আপন ছোট ভাই রায়হানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরদিন রায়হানুর রহমান আদালতে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়ে বলেন, পূর্ব শত্রুতার কারনে ভারতীয় সিরিয়াল দেখে কোমল পানীয়র সাথে চেতনানাশক ঔষধ সেবন করিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় সে তার আপন বড় ভাই, ভাবী এবং ভাইয়ের ছেলে-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে।
ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সিআইডি’র তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম গত ২০ নভেম্বর আদালতে একমাত্র আসামী রায়হানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলী করা হয়।
গতকাল মামলায় প্রথম সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য্য ছিল। কিন্তু আসামী পক্ষ প্রস্তুত না থাকায় আজ পুনরায় দিন ধায্য করা হয়। রাষ্ট্র পক্ষের পিপি এড. আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
Facebook Comments